রসুলুল্লাহ (সা:) যেদিন প্রথম মদীনায় হিজরত করে পৌঁছান সেদিন মানুষদের উদ্দেশ্যে
যে ৪টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেগুলো যদি কেউ মেনে চলতে পারেন তাহলে দুনিয়া ও আখেরাতে সেগুলোই তার জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে ইং-শা-আল্লাহ, কারণ সালামের প্রচলন, মিসকীনদের খাওয়ানো, আত্নীয়দের সাথে ভাল সম্পর্ক আর, শেষ রাতের নামাজ এমন কয়েকটি আমাল যা দুনিয়া ও আখেরাতের সকল মনযিলকে সহজ করে দিবে ইং-শা-আল্লাহ । ফরজ ইবাদতের পর যে ইবাদতগুলো আল্লাহ তায়ালা সব থেকে বেশি কুরআনে তাগাদা
দিয়েছেন এবং পছন্দ করেছেন তা হচ্ছে এই কয়েকটি আমাল। একবার রসুলুল্লাহ (সা:) কে
প্রশ্ন করা হয়েছিল সব থেকে উত্তম ইসলাম কি? তিনি বলেছিলেন ‘খাওয়ানো‘। আরেকবার তিনি বলেছিলেন কেউ যদি আয়ু ও রিজিক বাড়িয়ে নিতে চায় তবে সে যেন সবাইকে সালাম দেয় ও আত্নীয়দের সাথে ভাল সম্পর্ক রাখে।
আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রা:) বলেন, রসুলুল্লাহ (সা:) যখন প্রথম (হিজরত করে) মদীনায় এলেন তখন লোকেরা তাঁকে দেখতে লাগলো এবং বলাবলি করতে লাগলো ‘আল্লাহর রাসুল (সা:) এসেছেন’। আমিও লোকজনের সাথে তাঁকে দেখতে গেলাম। আমি তাঁর মুখমন্ডল উত্তমরূপে দেখার পর বুঝতে পারলাম যে, এই চেহারা কোনো মিথ্যাবাদীর চেহারা নয়। সর্বপ্রথম তাঁর মুখে আমার শোনা কথা এই যে, তিনি বললেন: “হে লোক সকল! তোমরা সালামের ব্যাপক প্রসার করো, খাদ্য খাওয়াও, আত্মীয়তার সম্পর্ক বহাল রাখো এবং লোকজন যখন ঘুমিয়ে থাকে, তখন (রাতের বেলা) নামায পড়ো। তাহলে তোমরা শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে ”।সুনান আদ দারেমী ২৬৭০, হাদিসের মান: সহিহ। অনলাইন সুত্র: hadithbd.com