তানবীনকে ভাঙ্গলে যা পাওয়া যায় |
উদাহরণ স্বরুপ 'মান্' কথাটি মিমে'র বাম পাশে নুন সাকিন দিয়েও লিখা
যেতে পারে আবার মিমে'র উপর দুই যাবার দিয়েও লিখা যেতে পারে। ।
উভয়টির উচ্চারণ একই রকম। নীচের উদাহরণ লক্ষ্য করুন।
দুই রুপ কিন্তু উচ্চারণ একই। তানবীনের মধ্যে নীল চিহ্নিতগুলো হারকাত (যের, যাবার, পেশ) আর লাল চিহ্নিতগুলো নুন সাকিন। |
নীচের আয়াতটিতে দেখুন নীল চিহ্নিত তানবীনের লুকায়িত নুন সাকিনের উচ্চারণ কিভাবে
করা হয়েছে। লাল তানবীনে আরজি সাকিন করা
হয়েছে এবং গোল তা’এ দম ফেলার নিয়ম মেনে বাংলা উচ্চারণ লিখা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, দুই যের ও দুই পেশে থামলে বা দম ফেললে আরজি সাকিন করতে হবে।
দম ফেলার স্থানে দুই যাবার থাকলে
থামা বা দম ফেলার স্থানে যদি দুই যাবার থাকে তাহলে দুই পেশ ও দুই যেরের মতো আরজি সাকিন করা যাবে না। দুই যাবারে দম ফেললে এক আলিফ মাদ করে দম ফেলতে হবে, একে মাদে এওয়াজ বলে (৪র্থ ধাপে আলোচিত)।
তবে দম না ফেললে তানবীনের নুন সাকিন পড়ে যেতে হবে। উপরের আয়াতে নীল স্থানে দম না ফেলে নুন সাকিন পড়ে যাওয়া হয়েছে আর লাল স্থানে দম ফেলার কারণে এক আলিফ মাদে এওয়াজ করা হয়েছে।