মাদ কত প্রকার ও কি কি?
মাদ প্রধানত দুই প্রকার ১) মাদে আসলী বা আসল মাদ এবং ২) মাদে ফারয়ী।
মাদে আসলী'কে মৌলিক বা আসল মাদ বলা হয় কারণ এই মাদ থেকেই অন্যান্য মাদের উৎপত্তি। অন্যদিকে ফারয়ী অর্থ ‘শাখা-প্রশাখা’। মাদে আসলী থেকে শাখা প্রশাখা বের হয়ে যেসব মাদ গঠন হয় সেগুলোকে মাদে ফারয়ী বলে। ফারয়ী মাদের সংখ্যা অনেক হতে পারে।
মাদে আসলী ও ফারয়ীসহ মাদ সাধারণত ১২ প্রকার । যেমন: ১) মাদে আসলী, ২) মাদে এওয়াজ, ৩) মাদে মুত্তাসিল, ৪) মাদে মুংফাসিল, ৫) মাদে আরজী, ৬) মাদে লীন, ৭) মাদে সিলায় তবিলা, ৮) মাদে সিলায় কসীরা, ৯) মাদে লাযিম কলমী মুখাফ্ফাফ, ১০) মাদে লাযিম হারফি মুখাফ্ফাফ, ১১) মাদে লাযিম কলমী মুসাক্কল এবং ১২) মাদে লাযিম হারফি মুসাক্কল।
মাদে আসলী'কে মৌলিক বা আসল মাদ বলা হয় কারণ এই মাদ থেকেই অন্যান্য মাদের উৎপত্তি। অন্যদিকে ফারয়ী অর্থ ‘শাখা-প্রশাখা’। মাদে আসলী থেকে শাখা প্রশাখা বের হয়ে যেসব মাদ গঠন হয় সেগুলোকে মাদে ফারয়ী বলে। ফারয়ী মাদের সংখ্যা অনেক হতে পারে।
মাদে আসলী ও ফারয়ীসহ মাদ সাধারণত ১২ প্রকার । যেমন: ১) মাদে আসলী, ২) মাদে এওয়াজ, ৩) মাদে মুত্তাসিল, ৪) মাদে মুংফাসিল, ৫) মাদে আরজী, ৬) মাদে লীন, ৭) মাদে সিলায় তবিলা, ৮) মাদে সিলায় কসীরা, ৯) মাদে লাযিম কলমী মুখাফ্ফাফ, ১০) মাদে লাযিম হারফি মুখাফ্ফাফ, ১১) মাদে লাযিম কলমী মুসাক্কল এবং ১২) মাদে লাযিম হারফি মুসাক্কল।
দীর্ঘ করার দিক থেকে মাদ ৪ প্রকার
মাদ কি পরিমাণ টেনে পড়তে হবে বা দীর্ঘ করতে হবে এদিক থেকে মাদ'কে চার ভাগে ভাগ করা হয় যথা; ১, ২, ৩,ও ৪ আলিফ মাদ, তবে অনেকে ৫ আলিফ পর্যন্ত দীর্ঘ করার কথাও বলে থাকেন।
১, ২, ৩ ও ৪ আলিফ মাদ বলতে কি বুঝায়?
একটি আলিফ অক্ষর উচ্চারণ করতে যতক্ষণ সময় লাগে ততক্ষণ টেনে পড়াকে ১ আলিফ মাদ বলা হয়। এটা প্রায় ১ সেকেন্ডের সমান অথবা হাত মুঠো করে স্বাভাবিক গতিতে একটি আঙ্গুল খুলে সোজা করার সময়টুকুই এক আলিফ মাদের সময়, এভাবে ২, ৩ ও ৪নং আঙ্গুল সোজা করতে যতক্ষণ সময় লাগবে সেটাই যথাক্রমে ২, ৩ ও ৪ আলিফ মাদের সময়। সহজ ভাষায় ১ আলিফ মাদের সময় ১ সেকেন্ড হলে ২ আলিফ মাদ ২ সেকেন্ডের সমান এবং ৩ ও ৪ আলিফের মাদ যথাক্রমে ৩ ও ৪ সেকেন্ডের সমান। এটাকেই ১, ২, ৩, ও ৪ আলিফ মাদ বলা হয়। নীচের ভিডিওটিতে দেখুন এক আলিফ মাদ কতটা দীর্ঘ হওয়া উচিৎ।১ আলিফ মাদ কতটা লম্বা করা উচিৎ শিখুন শেখ মিশারী রশিদ এর কাছে
মাদ কোথায় করতে হয়?
মাদের জন্য নির্ধারিত স্থানেই মাদ করতে হয় এবং ব্যকরণগত কারণে যে স্থানে যত আলিফের মাদ নির্দেশিত সেখানে তত আলিফেরই মাদ করতে হয়, তবে ২,৩ ও ৪ আলিফের স্থানেও এক আলিফের সমান মাদ করা যেতে পারে, কিন্তু এক আলিফও মাদ না করলে অর্থের পরিবর্তন হয়ে যাবে, যে কারণে মাদের স্থানে কমপক্ষে এক আলিফের মাদ কখনোই পরিহার করা উচিৎ নয়। উদাহরস্বরুপ বলা যায়, ‘আছে’ একটি শব্দ এখন বলা হলো ‘আছে?’ লক্ষ্য করুন, ‘আছে’ শব্দটিতে শুধু প্রশ্ন বোধক আবেগ যোগ করার কারণে ‘থাকা’ কোন কিছু আছে কি নাই প্রশ্ন সাপেক্ষ হয়ে গেল! আরবী ভাষায় মাদ এরকমই ভাববোধ পরিবর্তনের কাজ করে। সুতরাং মাদের স্থানে মাদ না করলে খুব বড় ভুল হয়ে যেতে পারে।
মাদ চেনার সহজ উপায়
কুরআন পড়ার জন্যে যেসব মাদ অবশ্যই চেনা প্রয়োজন সেগুলো চেনার সহজ উপায় নীচের লিংকগুলো থেকে জেনে নিন।
১) মাদে আসলী
২) মাদে এওয়াজ
৩) মাদে লীন
৫) মাদে আরজি।