Monday, June 15, 2020

রাশিফল পড়ে অনেকে মজা পান। কেউ কেউ এটাকে আবার সিরিয়াসলিও নিয়ে নেন। মনে হয় রাশিফলে যা বলা হচ্ছে তা যেন মিলে যাচ্ছে! আসলেই কি তাই? প্রত্যেকটা রাশিফল ভালভাবে পড়ে দেখবেন, লক্ষ্য করবেন প্রত্যেকটা রাশিতে প্রায় একই কথা এমনভাবে লিখা হয়ে থাকে যেগুলো আসলে প্রতিদিনের জীবনের আশা-আকাংখা, হাসি-কান্নার, পাওয়া না পাওয়ার কমন কিছু ঘটনা প্রবাহ মাত্র, যেগুলো নিয়েই মানুষের জীবন! রাশিফলে ঠিক এই ঘটনা প্রবাহকেই কৌশলগতভাবে কিছু কম-বেশি করে লিখে ফেলা হয়, তখন মনে হয় মিলে যাচ্ছে! কিন্তু আপনি কি জানেন এই ছোট্ট ফানি সদৃশ আগ্রহ বা বিশ্বাসবোধ আপানার কতটা ক্ষতি সাধন করছে?
রসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন “যে লোক আররাফ (গণক) – এর নিকট গেল এবং তাকে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করল, ৪০ রাত্রি তার কোন নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না“। মুসলিম শরীফ ৫৭১৪, ই: ফা: ৫৬২৭, ই: সে: ৫৬৫৬, হাদীসের মান: সহিহ
রাশিফলে বিশ্বাস করা শিরক


আররাফ কারা?

১) রাশিফল বলা জ্যোতিষ,
২) হাতের রেখা দেখে ভবিষ্যত বলা গণক,
৩) হারানো বস্তু কোথায় আছে এরকম ‘ঠিক দেখা’ গণক,
৪) টিয়া পাখি দিয়ে ভাগ্য বলে দেয়া গণক এবং
৫) যেকোন উপায়ে ভবিষ্যত বলে দেয় এরকম যে কেউ।

যেসব কারণে এদের উপর বিশ্বাস আনা যাবে না

  • উপরোক্ত হাদীস মতে যা সহিহ মুসলিম শরীফের হাদীস, এদেরকে বিশ্বাস করলে ৪০ দিন নামাজ কবুল হবে না
  • রাশিফল বলা হয় বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্রের মহাজাগতিক অবস্থানের ভিত্তিতে কিন্তু নক্ষত্রের প্রভাবে কিছু হয়েছে বা হবে এটা ভাবা শিরক। “যে বলেছে, অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টিপাত হয়েছে, সে আল্লাহর প্রতি অবিশ্বাসী হয়েছে এবং নক্ষত্রের প্রতি বিশ্বাসী হয়েছে” সহিহ বুখারী (তাওহীদ) ৮৪৬
  • যে ব্যক্তি গণকের নিকট গেল এবং তার কথা বিশ্বাস করলো সে রসুলুল্লাহ (সা) এর প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করল। আবূ দাউদ ৩৯০৪
  • কোনো বস্তুকে কুলক্ষণ ভাবা শিরক। আবূ দাউদ ৩৯১০
শংকার বিষয় যে ‘আররাফে’র কাছে এখন যাওয়া লাগে না, চলাচলের রাস্তায় টিয়া পাখির ভাগ্য বলে দেয়া, পত্রিকার পাতা আর SMS এ ভর করে এরাই পৌঁছে যাচ্ছে আমাদের ঘরে ঘরে, আর না জেনে আমরা আমাদের ঈমান নষ্ট করে ফেলছি। সর্তক হোন আর পবিবার-পরিজন, আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের এ বিষয়ে সঠিক তথ্য অবহিত করুন। সর্ব অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার উপর নির্ভর করুন।
ভবিষ্যতে কি হবে এটা গায়েবের বিষয়, আল্লাহ তায়ালা গায়েবের কোন বিষয়ই কারো নিকট প্রকাশ করেন না। সূরা নামলে’র ৬৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, “বল, আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আসামন ও জমীনে যা কিছু আছে, এদের কেউই অদৃশ্য জগতের কিছু জানে না, তারা এও জানে না, কবে তাদের আবার (কবর থেকে) উঠানো হবে

Share: