সুতরাং নিজের তিলাওয়াতের প্রতি যত্নবান হউন, অর্থ বুঝে পড়ুন। তাড়াহুড়া করে অনেকক্ষণ
পড়ার কোন প্রয়োজন নেই , বরং ধীরে অল্প অল্প করে প্রতিদিন নিয়মিত পাঠ করুন আর যা
পাঠ করলেন তার অর্থবোধ সম্বন্ধে ভাবুন এবং কি করে একে বাস্তব জীবনে আমলে রুপান্তরিত
করা যায় সে ব্যাপারে পরিকল্পনা ও মনস্থির করুন। শুধুমাত্র তাহলেই আপনি কুরআনের
প্রকৃত রহমত পাওয়ার আশা করতে পারেন। কুরআন বিশ্বাসীদের জন্য শেফা ও রহমত স্বরুপ আর
সন্দেহ পোষণকারী ও অবিশ্বাসীদের জন্য এটি ক্ষতিই বৃদ্ধি করে
(সূরা বানী ইসরাইল ৮২)।
আবূ সাঈদ খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, "ভবিষ্যতে
এমন সব লোকের আগমন ঘটবে, যাদের সালাতের তুলনায় তোমাদের সালাতকে, তাদের সওমের
তুলনায় তোমাদের সওমকে এবং তাদের আমালের তুলনায় তোমাদের আমালকে তুচ্ছ মনে
করবে।
তারা কুরআন পাঠ করবে, কিন্তু তা তাদের কণ্ঠনালীর নিচে (অর্থাৎ অন্তরে) প্রবেশ
করবে না। এরা দ্বীন থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমনভাবে নিক্ষিপ্ত তীর ধনুক থেকে
বেরিয়ে যায়। আর শিকারী সেই তীরের আগা পরীক্ষা করে দেখতে পায়, তাতে কোন চিহ্ন
নেই। সে তীরের ফলার পার্শ্বদেশে নজর করে, অথচ সেখানে কিছু দেখতে পায় না। শেষে ঐ
ব্যক্তি কোন কিছু পাওয়ার জন্য তীরের নিম্নভাগে সন্দেহ পোষণ করে"।
________ সহিহ বুখারী (তাওহীদ) হাদিস নম্বর ৫০৫৮
Online Source:
hadithbd.com