নুন ن অক্ষরের উপর যখন সাকিন
দেয়া হয় তখন তাকে নুন সাকিন বলা হয়। নুন সাকিন বড় হাতের অক্ষরে এরকম
আর ছোট হাতের অক্ষরে এরকম
দেখায়। এছাড়াও তানবীনের ভিতরেও নুন সাকিন থাকে, অর্থাৎ দুই যাবারের এক যাবার, দুই পেশের এক পেশ ও দুই যেরে’র এক যের আসলে নুন সাকিন। নুন সাকিনের সব নিয়ম তানবীনের নুন সাকিনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কুরআন শরীফের আয়াত গুলোতে সব থেকে বেশি যে নিয়মের ব্যবহার দেখা যায় তা হলো মাদে
আসলী এবং নুন সাকিন
। যেখানে নুন সাকিন আছে সেখানে কোন না কোন নিয়ম আছেই, তাই
প্রাথমিক পর্যায়ে নুন সাকিন দেখলেই সেখানে থেমে দেখে নিতে হবে এর পরের অক্ষরটি
কি, তারপর অক্ষর অনুযায়ী নিয়ম পালন করতে হবে। নুন সাকিন
চার নিয়মে পড়তে হয়
সেগুলো হচ্ছে ইকলাব, ইদগম ইখফা ও ইজহার। যারা সৌদি আরব টাইপ
মদীনা মাসহাফের
কুরআন পড়তে চান, তাদের জন্যে নুন সাকিনের ৪ নিয়ম জানা অত্যান্ত জরুরী।
নীচে উদাহরণসহ নুন সাকিন পড়ার ৪ নিয়ম আলোচনা করা হলো।
১) নুন সাকিনের ইকলাব
নুন সাকিনের বামে
ﺏ '
বা' অক্ষর থাকলে
নুনের স্থলে গুন্না সহ মীম পড়াকে ইকলাব বলা হয়। ইকলাব অর্থ গোপন
করা, এখানে
নুন’কে গোপন করে
মীম পড়া হলো।
উল্লেখ্য যে তানবীনের নুন সাকিনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। কুরআনে ছোট্ট একটি মীম চিহ্ন দিয়ে বোঝানো থাকতে পারে যে এটি ইকলাবের স্থান। উপরের আয়াতে লক্ষ্য করুন ছোট্ট একটি লাল মীম।
২) নুন সাকিনের ইদগম
ر ن م و ي আর
ﻝ এই ৬টি অক্ষর যদি নুন সাকিনের

বামে থাকে তাহলে নুন সাকিনের উচ্চারণ বাদ দিয়ে
এই অক্ষরগুলোর উপর যদি তাশদীদ চিহ্ন নাও থাকে তবুও তাশদীদ দিয়ে পড়তে হবে। এটাকেই নুন সাকিনের ইদগম বলা হয়। ছয়টি অক্ষরের মধ্যে
ن م و ي গুন্না সহ
ر আর
ﻝ গুন্না ছাড়া পড়তে হবে। নীচের উদাহরণ লক্ষ্য করুন।
বর্তমানে নূরানী টাইপ কুরআনে নুন সাকিনের পর ইদগমের অক্ষর থাকলে তাশদীদ দিয়ে দেয়া হয় কিন্তু সৌদি আরব টাইপে অয়াও এবং ইয়া’র উপর তাশদীদ দেয়া থাকে না, সেক্ষেত্রে নুন সাকিনের পর ইদগমের অক্ষর থাকলে তাশদীদ ধরে পড়তে হবে, আর সাকিনের পর তাশদীদ থাকলে সাকিন অক্ষরের উচ্চারণ হয় না। নীচের উদাহরণটি দেখুন।
৩) নুন সাকিনের ইখফা
ك ق ف ظ ط ض ص ش س ز ذ د ج ث ت এই ১৫টি অক্ষর যদি

নুন সাকিনের বামে থাকে তাহলে নুন সাকিনের উচ্চারণ
অনুস্বর (ং) পড়তে হবে, যেমন

শব্দটি '
আনতা' না পড়ে ‘
আং-’ বলে নাকের স্বরে একটু দম ধরে থেকে গুন্না করে ‘
তা’ পড়তে হবে অর্থাৎ '
আং-তা'। এটাকেই নুন সাকিনের ইখফা বলা হয়। নীচের উদাহরণটি ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করুন।
৪) নুন সাকিনের ইজহার
غ ع خ ح ه ও
ء এই ৬টি অক্ষর যদি
নুন সাকিনের এর বামে থাকে তাহলে
নুন উচ্চারণ
স্বাভাবিক নুনের মতোই হবে। ইজহার অর্থ
স্পষ্ট করা, উপরোক্ত ৬টি অক্ষরের ক্ষেত্রে নুনের উচ্চারণ স্পষ্টভাবে নুনের মতোই করাকেই নুন সাকিনের
ইজহার বলা হয়।
নিয়মগুলো ভালোভাবে রপ্ত করার জন্যে
এই লিংকে বিভিন্ন সূরা'র অনুশীলন করুন।