Monday, June 15, 2020

খুব ক্ষতির কারণ হতে পারে! শুধু টাখনুর নীচে প্যান্ট পরার কারণেই কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না, তাকে পবিত্র করবেন না, উপরন্তু শাস্তি ভোগ করতে হবে! আমাদের উচি‌ৎ টাখনুর নীচে প্যান্ট, পাজামা, লুঙ্গীর ঝুল যেতে না দেয়া।

হাদীস থেকে


আবু দাউদ শরীফের ৪০৮৭ নং হাদীসে উল্লেখিত রসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তিন প্রকার লোকের সাথে কথা বলবেন না, রহমতের নজরে দেখবেন না এবং তাদেরকে পবিত্র করবেন না, বরং তারা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে। জিজ্ঞাসা করা হলো হে আল্লাহর রাসূল (সা:) এরা কারা? নিঃসন্দেহে এরা ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি বললেনঃ (১) যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে রাখে; (২) যে ব্যক্তি দান করে খোঁটা দেয় এবং (৩) যে ব্যক্তি মিথ্যা বা ধোঁকাপূর্ণ কসম করে পণ্য বিক্রি করে

কতদুর পর্যন্তু ঝুল নামানো যাবে? আল আলা ইবনু আব্দুর রহমান (রহ:) তার পিতার সুত্র থেকে বর্ণনা করেন, আমি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) কে লুঙ্গি পরিধানের স্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তুমি এ বিষয়ে সম্যক অবগত লোকের কাছেই এসেছো। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, মুসলিমের পরিধেয় লুঙ্গি-পাজামা নলার মধ্যভাগ পর্যন্ত থাকবে, তবে টাখনুদ্বয় পর্যন্ত রাখলেও কোন গুনাহ হবে না। কিন্তু টাখনুদ্বয়ের নীচে গেলে তা জাহান্নামের আগুনে যাবে। যে অহংকার বশে নিজের লুঙ্গি হেঁচড়িয়ে চলে, আল্লাহ তার প্রতি ভ্রূক্ষেপ করবেন না। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০৯৩, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।

ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তখন আমার লুঙ্গি বেশ ঝুলে ছিল। সুতরাং তিনি (সা:) বললেন, ‘হে আব্দুল্লাহ, লুঙ্গি উঠিয়ে পর।’ (নিশ্চয় ইবনে উমার (রাঃ) এটা অংহকার বশত ঝুলিয়ে পরেন নি!) তখন আমি লুঙ্গি উঠিয়ে পরলাম। তিনি আবার বললেন, ‘আরো উঁচু কর।’ আমি আরো উঁচু করলাম। এরপর থেকে আমি খেয়াল রাখতাম যেন লুঙ্গি নীচে না নামে। কিছু লোক ইবনে উমার (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করল, ‘কতদূর পর্যন্ত ঝুলিয়ে পরা যাবে?’ তিনি উত্তরে বললেন, ‘অর্ধ গোছা পর্যন্ত।’

ফুটনোটঃ (সহীহুল বুখারী  ৩৪৮৫, ৩৬৬৫, ৫৭৮৩, ৫৭৮৪, ৫৭৯১, মুসলিম ২০৮৫, ২০৮৬, তিরমিযী ১৭৩১, নাসায়ী ৪৩২৬, ৪৩২৭, ৪৩২৮, ৫৩৩৫, ৫৩৩৬, আবূ দাউদ ৪০৮৫, ৪০৯৪, ইবনু মাজাহ ৩৫৬৯, আহমাদ ৪৪৭৫, ৪৫৫৩, ৪৮৬৯, ৪৯৯৪, ৫০১৮, ৫০৩০,৫০৩৫, ৫১৫১, ৫১৬৬, ৫২২৬, ৫৩০৫, ৫৩১৮, ৫৩২৮, মুওয়াত্তা মালেক ১৬৯২, ১৬৯৮)  রিয়াদুস সলেহিন, হাদিস নং ৮০৪
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

Share: